ফরিদপুর জেলা কারাগারে প্রবীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে আজ সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে ফরিদপুর জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। প্রবীর সিকদারকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের পুলিশি রিমান্ড এর আবেদন করা হয়েছে বলে মামলার বাদী আওয়ামীলীগ নেতা ও এপিপি এবং হিন্দু বৈদ্ধ্য খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতা এ্যাড. স্বপন পাল। তবে রিমান্ড এর শুনানীর দিন ধার্য করেননি ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মোঃ হামিদুল ইসলাম।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল উত্তরাধিকার ৭১ এবং দৈনিক বাংলা ৭১ এর সম্পাদক প্রবীর শিকদার সুজনকে গ্রেফতার করে রাবিবার রাতে ফরিদপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা শহরের ফার্মগেটে ইন্দিরা রোডে অবস্থিত প্রবীর সিকদারের পত্রিকা অফিস থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ডিবি পুলিশ তাকে নিয়ে যায় তাদের মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে। সেখান থেকে রাতেই প্রবীর সিকাদকে নিয়ে যাওয়া হয় ফরিদপুরে।
ফরিদপুরের বিশিষ্ট আইনজীবী ও আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাড. স্বপন কুমার পাল কোতয়ালী থানায় প্রবীর সিকদাকে আসামী করে তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আর এই মামলায় প্রবীর সিকদারকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সাংবাদিক প্রবীর সিকদার সুজন গত ১০ আগষ্ট তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি আপত্তিকর স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে এল জি আর ডি মন্ত্রী ও ফরিদপুর সদর আসন থেকে পর পর দুবার নির্বাচিত এমপি ফরিদপুরের উন্নয়নের রূপকার ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এর সুনাম ক্ষুন্ন করেন।
প্রবীর সিকদার তার স্ট্যাটাসে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ক্রমিক দিয়ে লিখেছেন, “ আমার জীবন শংকা তথা মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী থাকবেন” ১. এল জি আর ডি মন্ত্রী ইঞ্জি. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি, ২. রাজাকার নুলা মুসা ওরফে ড. মুসা বিন সমশের, ৩. ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী বাচ্চু রাজাকার ওরফে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং এই তিন জনের অনুসারী ও সহযোগীরা।
পুলিশ মূলত এই স্ট্যাটাস দেবার অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় সাংবাদিক প্রবীর সিকদার সুজনকে গ্রেফতার করে।
প্রবীর সিকদারের বড় ছেলে সুপ্রিয় সিকদারও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাবার এই স্ট্যাটাসের কারনে মামলা হওয়ায় তাকে ফরিদপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে সব শেষ খবর অনুযায়ী তথ্য প্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে ফরিদপুর জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/এমএস